বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
স্রষ্ঠাই মহান
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড । যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশী উন্নত।তাই শিক্ষার উন্নতি করা সকলেরই দায়িত্ব।আমি প্রায় ৩২ বৎসর যাবৎ হাতিয়া উপজেলার সর্ববৃহৎ ও জনবহুল ইউনিয়ন পরিষদ চরকিং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।আমি মনে করি এ এলাকার শিক্ষা সহ সার্বিক উন্নতির চেষ্টা আমার নৈতিক দায়িত্ত্ব।শিক্ষা প্রসারের জন্য আমি অত্র ইউনিয়নের প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে আসছি।
আজ থেকে প্রায় ত্রিশ বৎসর পূর্বে আমি এ ইউনিয়নের একটি বিখ্যাত বিদ্যাপীঠ চর ঈশ্বর রায় দাসের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন দাতা সদস্য নিযুক্ত হই।একই সময়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্যের আন্তরিক সমর্থনে অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নির্বাচিত হই। সে হতে অদ্যাবদি ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য গন আমাকে প্রতি বারই উক্ত পদে বহাল রাখেন।আমি মনে করি পদ আর ক্ষমতা বড় কথা নয় প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কল্যান সাধন করাই আমাদের দায়িত্ত্ব।১৯৯১ ইং সনের ২৯শে এপ্রিলের প্রলযংকারী ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসের ফলে বিদ্যালয়ের ১৫০টিন সিট ঘর ভেঙ্গেচুড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।সরকারী সাহয্য ছাড়াও আমি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১,৩০,০০০ টাকা খরচ করে এক রাত্রে ৬০ হাত ঘর নতুন নির্মান করে দেয়।
অতর্কিতে এক ভীষন ঘুর্ণিঝড়ে ১৭০ হাত গৃহের ২ তৃতীয়াংশ ঘর ভেঙ্গে যায়। আমি উদ্যোগে ১,২০,০০০ টাকা খরচ করে অর্ধেক ঘর পূর্ণ নির্মান করে দেয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের মেরামত, টেবিল, চেয়ার, এবং অন্যান্য সামগ্রীর জন্য আর্থিক সাহায্য দিয়ে থাকি। মেদাবি ও গরীব ছাত্রদের আর্থিক সহযোগিতা করে উৎসাহিত করছি।বর্তমানে বিদ্যালয়ের সুযোগ্য প্রধান শিক্ষক সহ আপ্রন চেষ্টা করে একটি সরকারী ভবন বিদ্যালয়ের নামে মঞ্জুর করি।যার নির্মান কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। উক্ত ভবনের জন্য বিদ্যালয়ের নামে প জমি ক্রয় করে দেয়। বিদ্যালয়টি সুযোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষক শিক্ষিকা মন্ডলী দ্ধারা সুন্দর ও সুচারুপে পরিচালিত হয়েছে।প্রতি বৎসর J,S,C পরীক্ষার ফলাফল প্রায় শতাংশ এবং কয়েকজন ছাত্র বৃত্তিও পেয়েছে। S,S,C পরীক্ষার ফলাফল কোন কোন বৎসর শতাংশ এবং কোন কোন বৎসর প্রায় কাছা-কাছি। সরকারী কর্মকর্তা সহ সর্ব স্তরের জনগনের নিকট বিদ্যালয়টির আশু মঙ্গল কামনা করছি।
ধন্যবাদান্তে
ছাইফ উদ্দিন আহাম্মদ
সভাপতি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি
চর ঈশ্বর রায় দাসের হাট উচ্চ বিদ্যালয়
সূর্যের আলো যেমন পৃথীবিতে আলো ছড়ায় তেমনি আলোকিত জাতি গঠনে শিক্ষার বিকল্প নেই। আর আলোকিত জাতি গঠনে প্রয়োজন শিক্ষিত জনগোষ্ঠি। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা, পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সু-দক্ষ শিক্ষক ও সচেতন অভিভাবক মন্ডলী। তা হলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। অত্র দ্বীপের শত বর্ষ পার হওয়া হাতিয়া ইউনিয়ন মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়টি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসছে। তথ্য প্রযুক্তির বিস্তার ও আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল কাযক্রম এগিয়ে যাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটির উন্নতিকল্পে যাহারা আর্থিক, মানষিক ও শারীরিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন আমি তাদের কে জানাই অভিনন্দন। অত্র বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কমচারী ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যের সাফল্য ও সকলের সুস্থ, দীর্ঘ জীবন কামনা করছি। বাংলাদেশ চিরজীবি হউক।
ছাইফ উদ্দিন আহাম্মদ
সভাপতি
হাতিয়া ইউনিয়ন মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
হাতিয়া,নোয়াখালী।